সফলতার গল্পঃ ডেভসটিম ইনস্টিটিউট

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে ডেভসটিম ইনস্টিটিউট সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডেভসটিম পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৩ বছরের যাত্রায় অসংখ্য স্বপ্নবাজ তরুনদের পদচারনায় মুখরিত করে রেখেছে ডেভসটিমের ইনস্টিটিউটের আঙিনা। অনেক তরুন আজ এখান থেকে সঠিক গাইডলাইন পেয়ে হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে ডেভসটিম ইনস্টিটিউট উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র মুজতাহিদুল ইসলাম এর সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

মুজতাহিদুল ইসলাম–

ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে প্রথম পরিচয় আমার গত বছর (২০১৩) মার্চ মাসে। প্রথম দিকে এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ভাগ্যক্রমে একদিন ফেসবুকে একটা গ্রুপে যোগ হয়ে যাই। সেখানে অনেক রকম পোস্ট এবং কমেন্ট পড়ি। বলতে গেলে সেখান থেকেই একটু একটু করে জ্ঞান লাভ হয়। তার পর ঐখান থেকে বিপ্লব নামক এক ভাই আমাকে ইমেইল খুলে দেয়ার কাজ দেয়। মূলত ঐ কাজটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং কাজ। ঐখান থেকে কথা হয় সোহেল নামক আরেক ভাইয়ের সাথে। সে আমাকে কিছু ডাটা এন্ট্রি এবং এসইও কাজ দিতো করার জন্য এবং পাশাপাশি এ ব্যাপারে অনেক পরামর্শ দিতো। আর সেখান থেকেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখার প্রতি একটা ঝোক মাথায় আসলো। গুগলে সার্চ করে করে অনেক কিছুই শিখলাম কিন্তু সত্যি বলতে কি অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোন উপায় না পেয়ে একটা ভালো ইনস্টিটিউট খোজা শুরু করলাম।

1021

ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম ডেভসটিম কে। অনেকটা কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে ভর্তি হলাম ইউনুস ভাইয়ের ক্লাসে। তবে প্রথমে ভয়ে ছিলাম টাকা সব জলে গেলো না তো! কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এতদিন অযথাই সময় নষ্ট করেছি। অনেক সাবলীল ভাবে প্রথম দিকে চন্দন ভাই এরপর অ্যাডভান্সড লেভেলে ইউনুস ভাই ক্লাস পরিচালনা করেন।

অবশেষে যত কনফিউশন ছিল সব সমাধান হল। তারপর মার্কেট এ কাজ খোজা শুরু করলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ পেয়েও গেলাম। প্রথম কাজটা শেষ করে দ্বিতীয় কাজও পেলাম।আমার কাজটা ক্লায়েন্ট এতই পছন্দ করেছিল যে সে আমাকে পরবর্তিতে ফুল টাইম জব অফার করে তাও মার্কেটপ্লেসের বাহিরে। আমার ক্লাইন্টের বিশাল এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট বিজনেস। তিনি আমাকে প্রতি মাসে অগ্রিম পে করে তাই পেমেন্ট নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা মাথায় আসে না। ক্লাইন্ট তার সব ডেভলপিং এবং অন্যান্য সব কাজ আমাকে দিতে লাগলো। এক পর্যায়ে আমি একটি টিম বানাই এবং এখনও সেই টিমের লিডার হিসেবে আছি। সুসংবাদ হল এখন আমার ক্লাইন্ট আমাকে তার বিজনেসের পার্টনার বানাতে চাচ্ছে।

Feedback

ভাবতেই ভাল লাগে আমি এই বয়সে নিজে অনলাইনের কাজ করে আয় করছি এবং আর ৪-৫ জনকে টাকা উপার্জনের পথ করে দিয়েছি আল্লাহর রহমতে। এখন এটাই আমার পেশা ও নেশা।

যারা ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুন অথবা কাজ করতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা বা উপদেশ-

১। প্রবল ইচ্ছা না থাকলে আপনি এই সেক্টরে বেশীদিন টিকে থাকতে পারবেন না।

২। আপনার ইচ্ছার সাথে ধৈর্য্য অবশ্যই লাগবে।

৩। গুগল কে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে তবে মার্কেটে ভালো কিছু করতে হলে এক্সপার্টদের শরণাপন্ন অবশ্যই হতে হবে।

৪। ১০০% সৎ থাকতে হবে নয়তো যে কোন সময় আপনার ক্যারিয়ার ধস নেমে যাবে।

৫। মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে মোটামুটি টাইপের জ্ঞান এখন আর কাজে লাগে না।

পরিশেষে আমি ডেভসটিমের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের সঠিক গাইডলাইন আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং নতুনদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

হতে চান গ্রাফিক্স ডিজাইনে সফল? তবে আপনার জন্যই লেখাটি!

নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রথম লক্ষ থাকে, সে একদিন অনেক বড় মাপের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবে, তার ডিজাইন করা প্রডাক্ট গুলো সারা বিশ্ব ছাড়িয়ে পড়বে পাশাপাশি এক সময় ভালো আয় করবে। কিন্তু অন্য ৮/১০ টা প্রফেশনের মত ডিজাইনিং সেক্টরেও ক্রিয়েটভিটির গ্রো করিয়ে নিয়ে ট্রেন্ডের কাজ করে যেতে দরকার কঠিন পরিশ্রম আর সঠিক গাইড লাইন, তাহলেই সম্ভব সফল হওয়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো যা আপনাকে অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে বহুলাংশে।

# আপনি যা করতে পারেন না, সে বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়ান

ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য বা আরও বিস্তারিত জানার জন্য ওয়েবে ঘোরাঘুরি করছেন, হঠাৎ আপনি সুন্দর এক ওয়েবসাইটের ভিজিট করলেন, আর আপনার মনে হল আপনিও যদি এমনটা করতে পারতেন, কেমন হত তবে? হ্যাঁ আপনিও পারবেন, তবে আপনাকে তাৎক্ষনিক কিছু প্রশ্ন মনে আনতে হবে এবং নিজেকেই সেই প্রশ্নের সমাধান করে করে আনতে হবে। নিচের প্রশ্ন গুলো দেখুন…

 

knowledge-doubling

১। কিভাবে গ্রাফিক্স টি সম্পাদন হলো বুঝতে চেষ্টা করুন?
২। ডিজাইনটি করার সময় কোন কালার স্কিম ব্যাবহার করছে?
৩। সে নতুনত্ব কি কি আনলো ওয়েবসাইটে?
৪। কোণ বিশেষ ইফেক্ট আছে? সেটা কিভাবে করা যেতে পারে?

“আমি সব সময় এমন কিছু করার চেষ্টা করি যা এর আগে আমি কখনো করিনি আর এর মাধ্যমে আমি প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু শিখি”

# তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার ক্ষমতা

আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার ক্ষমতা রাখতে হবে। প্রথমে কিন্তু আপনি পারবেন না কিন্তু দেখবেন আস্তে আস্তে আপনি ঠিকই পারছেন। আর একটি কথা মনে রাখবেন, কখনো কোন টিউটরিয়াল দেখে আপনি কিছু শিখতে পারবেন না যদি কিনা আপনি সেটার প্রচেষ্টা না করেন। আর আপনার যদি কালার স্কিম নিয়ে সমস্যা হয় তাহলে আপনি এই ২টা অ্যাডঅন ব্যাবহার করে খুব সহজেই সেটি বের করে নিতে পারবেন।

HR Challenge Linchi Kwok Blog

• গুগল ক্রম এর জন্য- আই ড্রপার
• মজিলা ফায়ারফক্স এর জন্য- কালার জিলা
আর কোন ওয়েবসাইটের প্রকৃত মাপ জানতে চাইলে এই ২ টা অ্যাডঅন আপনার কাজে লাগবে।
• গুগল ক্রম এর জন্য- পেজ রুরাল
• মজিলা ফায়ারফক্স এর জন্য- মিসুরালেট

# এবার আপনি গবেষণা শুরু করুন

announcement_icon

আপনি এতক্ষণ যে আইডিয়া পেলেন বা যেভাবে গ্রাফিক্সের কাজ করবেন বলে ভাবলেন সেটাকে আমি ফ্রী স্টাইলের কাজ করা বলি এবং ঠিক এই একই ভাবে কাজ করে আমি অনেক নতুন নতুন আইডিয়া পেয়েছি।

# কমেউনিটিতে যোগদান

সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমেউনিটিতে যোগ হতে হবে। বর্তমানে অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে, আছে বিভিন্ন ফোরাম যেখানে গ্রাফিক্সের অনেক অনেক আলোচনা হয় আর সাথে আপনি অনেক টিপস ও টিউটোরিয়ালও পাবেন যা আপনার ট্রেন্ডি করে ভালো করতে সেখাবে।

community2

অন্যান্য ডিজাইনারেরা কিভাবে আর কি কাজ করে সেটি জানবেন। এখানে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন যা আপনার অনেক হেল্প করবে নতুন কোন ডিজাইন করতে। DeviantART, Behance, Dribbble ইত্যাদি এই সাইট গুলোতে আপনি আপনার ডিজাইন স্যাম্পল জমা দিতে পারবেন। নিতে পারবেন আপনার ডিজাইনের ফিডব্যাক। আপনার পরিচিতি বাড়ানো কারন আপনি যদি একজন ভালো মানের ডিজাইনার হতে চান তবে ভবিষ্যতে এটি আপনাকে অনেক হেল্প করবে। আপনার সাবমিট করা ডিজাইন গুলো পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করে, এগুলো দেখে অনেকেই আপনাকে হায়ার করতে চাইবে পাবেন অনেক কাজের অফার।

# বিভিন্ন কন্টেস্টে যোগদান করা

বিভিন্ন সময় দেখা যা ওয়েবে অনেক কন্টেস্ট চালু করে তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, আপনার উচিৎ অবশ্যই সেই গুলোতে যোগ দেয়া। আপনি ভাব্বেন না যে আপনি সেখানে টিকতে পারছেন না বা পারবেন না, আমি বলবো আপনি কখনো মনোবল হারাবেন না লেগে থাকুন আর আগের করা ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে শুরু করুন। নিয়মত বিভিন্ন কন্টেস্টে যোগ দিন, পাঠান আপনার কাজের স্যাম্পল।

affiliate-marketing-contest-winner

আমি আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু সাইটের সন্ধান দিচ্ছি যেখানে প্রাই সময় কন্টেস্ট চালু করে থাকে-

• 99Designs
• HatchWise
• CrowdSpring

কন্টেস্ট যোগ দেওয়ার আগে কিছু কথা

• কর্তৃপক্ষ ঠিক কোন ধরনের ডিজাইন চাচ্ছে সেটি ভালো করে বুঝুন।
• আপনার ক্লাইন্টের চাহিদা ঠিক কেমন।
• আপনার ক্লাইন্ট কে বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনার কথাগুলা।

# আপনার জ্ঞান শেয়ার করুন গেস্ট পোস্ট অথবা নিজের ব্লগেই

আপনি নিয়মিত লিখা লিখি করতে পারেন, নিজস্ব ব্লগ কিংবা বিভিন্ন গেস্ট ব্লগ সাইটে, অংশ গ্রহণ করতে পারেন ফোরাম সাইটেও। ওয়েবে মার্কেট ধরার এখন পর্যন্ত শীর্ষ একটা মাধ্যম হচ্ছে ফ্রি কন্টেন্ট ডেভেলপ করা, আর যা অতি সহজেই ব্লগিং করে করতে পারবেন। নিজের এক্সপার্টাইজ দেখিয়ে ভালোভাবে ব্লগিং চালিয়ে যেতে পারবে খুব ভালো সারা পাবেন। দেখবেন যে আপনি আস্তে আস্তে ঐ বিষয়ের জনপ্রিয় একজন লেখক হয়ে উঠেছেন আর তখন আপনি নতুন কোন ক্লাইন্ট পেয়ে গিয়েছেন। তাই আপনার ভেতরে যা আছে টা সবার সাথে শেয়ার করুন এতে করে সময় নষ্টের চেয়ে উপকারটাই বেশি হবে।

guest-posting

পরিশেষে আমি আপনাকে এতটুকু বলবো আপনি যদি একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে আমার দেয়া নির্দেশনা গুলা ফলো করতে পারেন। আর কেউই কখনো পারফেক্ট ডিজাইনার হতে পারে না ভুল করতে করতে সে তার ভুল গুলা সংশোধন করে নেয়। আপনিও ভুল করুন আর আপনার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে শুরু করুন দেখেবন আপনি একদিন অনেক ভালো মানে ওয়েব বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন।

 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ

10426828_541942615917538_7663698990006465120_n

Search Engine Optimization

E-mail Marketing

Blogging & Affiliation

ডেভসটিমের সাহায্যে আজ আমি সফল ফ্রিল্যান্সার!

প্রথমে আমার পরিচয় দিয়ে শুরু করছি, আমি বজলুর রহমান বিটিসিএল এর ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার, আজ আমি আপনাদের আমার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারের গল্পটা জানাবো।

সরকারী চাকুরী হলেও যা মাইনে পেতাম তা দিয়ে মোটামুটি ভাবে সংসার চলে যেত কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপনের বাইরে নিজেকে সবদিক দিয়ে গুছিয়ে শখগুলো কোনভাবেই পুরন করা হয়ে উঠতো না। একপর্যায়ে ভাবলাম শেয়ার ব্যবসা শুরু করলে কেমন হয়, অবশেষে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করে আমি ব্যবসা শুরু করলাম।

 Bazlur Rahman

সবকিছু মোটামুটি ভালই চলছিলো কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক কিছু ভুলে কিছুদিনের মধ্যেই আমার ব্যবসাতে ধস নামলো আর আমি আবার সেই আগের জায়গাতে ফিরে এলাম। নতুন করে চিন্তা কাজ করছে, কি করে আমার সংসার চলবে আর তার উপর আবার ব্যাংকের ঋণের বোঝা। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। শেষমেষ যোগদান করলাম ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডে, যার সম্বন্ধে কম বেশি সবাই জানেন। বলতে গেলে সেখান থেকেও আমি নিরাশ হয়ে ফিরলাম। এরপর আমার গ্রামের বাড়ির একজন আত্মীয় আমাকে বললো, সে ডুলান্সার.কমে কাজ করতে চায়, এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে ৭৫০০/-টাকা খরচ হবে আর প্রতি দিন ৫০ ডলার আয় হবে। করবে কিনা? আমি এসব বিষয়ে জানা না থাকায় সায় দিলাম না। পত্রিকাতে একটা বিজ্ঞাপন দেখে একদিন একটি সেমিনারে অংশগ্রহন করলাম, সেটিও ছিলো ডুল্যান্সারেরই, সেখান থেকে বলা হল কাজ তেমন কিছুই না আমার মতো আরও ৫ জনকে সেই কোম্পানিতে জয়েন করাতে পারি তবে তারা আমাকে বেশ ভালো কমিশনের ব্যবস্থা করে দেবে। আমার কাছে বিষয়টা ভালো লাগলো না, যথেস্ট সন্দেহ হওয়ায় এই কোম্পানিকে ভণ্ড বলে মনে হল। শেষ চলে আসলাম ওখান থেকে। আমার আত্মীয়কে সরাসরি জানিয়ে দিলাম যে, আমি তাদের সাথে কাজ করবো না।

যেভাবে আমি ফ্রীলান্সার জগতে প্রবেশ করলাম:

খোঁজাখুজি চালু রাখলাম, সময়টা ছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসের দিকে প্রথম আলোতে বিডিএসওএন পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর উপর সেমিনার হবে এমন নিউজ পড়লাম। দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম ওখানে জয়েন করবোই। ঠিক সময় মতো আমি ওখানে পৌঁছে গেলাম এবং বক্তা ছিলেন মুনির হাসান। সেমিনারে জানতে পারি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সুযোগ কেমন, কি কি জানতে হয়, কিভাবে শুরু করা যেতে পারে জানলাম বিস্তারিত।

সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, আমাকে যেভাবেই হোক কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নামতে হবে। কিন্তু এখন মাথায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ভর করলো, কাজ কোথা থেকে শিখবো? কোন ধারনাই ছিলো না এসব বিষয়ে। এরপর আমি সন্ধান পেলাম বাংলাদেশের স্বনামধন্য ফ্রিল্যান্স প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেভসটিম ইনিস্টিটিউট এর। সময় করে চলে গেলাম ডেভসটিমে, পরিচয় হল “তাহের চৌধুরী সুমন” সাহেবের সাথে যিনি ওখানকার সিইও এবং একজন বড় মাপের ইন্টারনেট মার্কেটার। আমার কাছে মনে হল সত্যি অসাধারণ একজন ইনফ্লুয়েন্সার উনি। বুঝিয়ে দিলেন কোন কাজটা আমার জন্য ভালো হবে, কিভাবে শুরু করতে পারি এসব বিষয়ে। উনার উপদেশ ছিলো এসইওটাই যেন ভালো করে শিখি। ভর্তি হয়ে গেলাম, আমার আর্থিক সমস্যার কারনে উনি আমাকে কিস্তিতে তাদের কোর্স ফি দেবার ব্যবস্থা করে দিলেন, সেখান থেকেই শুরু।

 Bazlur Rahman

কোর্স চলাকালীন কিছু মডিউল শেষে তাহের সাহেব আমাদের উপদেশ দিলেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে, সোশ্যাল প্লাটফর্ম আর ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম গুলোতে একটিভ হতে। আমি খুব ভালো করে জানতাম মার্কেটপ্লেস গুলোতে কিভাবে কাজ করবো। একদিন উনার পার্সোনাল মেন্টরিং নিয়ে ওডেস্ক.কমে প্রোফাইল সাজিয়ে বিড করা শুরু করলাম। প্রথম দিকে কাজ পাচ্ছিলাম না, এরি মধ্যে একদিন আমার স্ত্রী বলল যে এইসব বাদ দিয়ে অন্য কোন পার্ট টাইম কাজ খুজতে। আমি তাতে হতাশ হয়নি বরং তাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি যে, এটি একমাত্র কাজ যা করে খুব স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। বিড করতে করতে একদিন হুট করে একটি কাজ পেয়ে গেলাম আর কাজটি ছিল কিওয়ার্ড রিসার্চের। সেটি ছিল আমার প্রথম কাজ আর তাহের সাহেবের সাহায্যে আমি খুব  ভালো করে কাজটি শেষ করতে পারেছিলাম।

এরপর আর আমাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। এখন আমি খুব সুনামের সাথে আমার কাজ করে যাচ্ছি আর মার্কেটপ্লেসে আমার প্রতি ঘণ্টার মূল্য এখন ১০$ ডলার, আর এখন পর্যন্ত আমি প্রায় ৩০০০$ ডলার মতো ইনকাম করেছি। এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে একমাত্র ডেভসটিমের কল্যাণে আর আমার সাথে সমসময় আমি তাহের সাহেবকে পেয়েছি।

সত্যি আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ, তাদের সাহায্য না পেলে হয়তো কোনদিন আমি এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। শুভকামনা ডেভসটিম পড়িবারের সকলের জন্য……ধন্যবাদ।

Matt Cooper in Inaugural of “Freelance Career” Resource Book!

A special resource book named “Freelance Career” has been unveiled by DevsTeam Institute in order to increase the awareness of Freelance Outsourcing along with distributing proper guideline to the interested people.

Launching ceremony of this Book was held at DevsTeam Institute Stall in Digital World Event on 6th December with the hand of Matt Cooper (Vice President of Operations – oDesk),  Ally Russel (International Marketing Head – oDesk), Editor of this Book & CEO of DevsTeam Al-Amin Kabir, Asif  Anwar Pathik (Internet Marketing Strategist of iViVelabs), Sayeed Islam (CEO of BigmasTech) and Mubarok Hossain (Freelance Business Plan Writer).

Freelance Career Book Ingratiation

Matt Cooper said that; “Bangladeshi Youths are skilled and working amazingly in oDesk.  Bangladeshi Contractors have earned more than 1 crore and 20 lakh USD this year only from oDesk. We are assuming that this amount of earning will be reached to 1 Crore and 30 Lakh USD within the end of this year. This time the Bangladeshi Contractors are improvising their skills awesomely and regarding this issue; such publication by DevsTeam will really be helpful for the youths to develop their existing skills.

 

Ally Russel said that – “This kind of initiative is worth praising and will be helpful for the youths”.

 

DevsTeam’s CEO Al-Amin Kabir said that – “This kind of initiative will be taken again. This 80 paged book covered all the writings of top freelancers and experts of Bangladesh. It is being distributed absolutely for free from DevsTeam Institute. He added, interested people can also download pdf version of this book. ”

How To Earn Money By Freelancing

Earn Money Using Freelancing

Freelancing is one of the best way of earning money irrespective of where you live. Though it is the best way, it cannot be said it is the easiest. There are some skills necessary to earn money using freelancing. That is a requirement for any job ever found in the world. To get a job, one must know some works. If you have a skill like creative writing, coding, designing or even photography, you can also earn a good amount of money by freelancing.

Benefits of Freelancing

There are many benefits of earning money by freelancing. The most important and the most beneficial ones are mentioned here-

  1. The primary requirements are very specific. You do not have to go door to door or from office to office to get a work. You can just go online and browse through a number of jobs before you bid on any of them. There is no extra work to do that.
  2. There is not much of an investment in freelancing. All you will need is just a computer and an internet connection. You do not even need a high speed connection for most type of freelancing jobs. Only a connection with a decent speed can serve your purpose.
  3. You can browse thousands of projects without any labor. As a result you can compare among the projects and decide which is better for you.
  4. You will be able to earn money using freelancingwithout leaving your home. Whether you are in the city or in a vacation in your village, you can always work as you want with a PC and an internet connection. As a result you will be able to work even if you have other works like studying or office times.
  5. In comparison with the amount of payments in our country, the payment is high in most of the developed countries. Therefore, there will be more values for your work if you do the same work for foreign clients.
  6. There is no hard and fast rule for freelancing. You can take a break for months and then you can work 7 days a week without a break. You are the one who will take all the decisions of working or not.

Earn Money Using

There are many prevailing problems in Bangladesh to earn money using freelancing. One of the most disturbing problem is the method of withdrawing money. PayPal is not yet available in Bangladesh, so the freelancers have to use the alternatives to withdraw the money sent by the clients. You can always use the services provided by the marketplaces like oDesk or Freelancer.com to withdraw money. If you feel you need any training to start working, you can always try taking help from professionals like the DevsTeam.

Freelancing in Bangladesh

The concept of online freelancing is getting very popular in Bangladesh now. There are many factors working behind this rising popularity, but the most important of them are two, the success stories of the freelancers from Bangladesh and the rumors which are prevailing about freelancing in Bangladesh. There are many successful freelancers in Bangladesh who are doing an excellent job by their quality of work.This is inspirational to many people, but even then, there are some obstacles which should be dealt with to open this road for more able and skilled people of this country.

Freelancing in Bangladesh

Common Misconceptions

There are some rumors that freelancing is a way to earn lots of money only by clicking some links. Though it is the primary reason of the existing popularity of freelancing in Bangladesh, it is also a harmful rumor. People are often fooled by some frauds who use these misconception to lure people in the business of multilevel marketing or PTC. Therefore, people should be made aware about the true concept of freelancing. They should know that freelancing is more than just clicking links and it needs skills like any other profession out there. The emphasis of the freelancing related institutions should be on the skills, not on how fast or how much money one can earn. Otherwise, online freelancing will forever be a magic lamp for the people of Bangladesh.

 

Obstacles

Communication is an important factor to be a successful freelancer. As the medium is internet here, a freelancer must have some basic grasp of English to successfully communicate with the clients. To impress a client language barrier can be a great obstacle if the freelancer does not have enough knowledge of English. This problem can easily be solved by taking some basic courses in English. This knowledge will not only help the freelancers to successfully communicate, but also help them to acquire more knowledge in his field of work from various English tutorials and books written by other successful freelancers. Therefore, it is almost as important as the knowledge of the skills the freelancers will require to make a successful career.

Another common problem of freelancing in Bangladesh is frustration. The new freelancers sometimes lose their hope by not getting any response after bidding in different places. In such cases a good sample can always be useful to impress anyone even if the bidder does not have any prior experience.

Infinite Posibilities

The Possibilities

There are many positive sides of freelancing in Bangladesh. In comparison to the living standard and average salaries in Bangladesh, the money earned by freelancing is impressive. Therefore, the freelancers from countries like Bangladesh, India or SriLanka can provide service with good quality at a cheaper rate than the rate of the freelancers of other countries. If a freelancer knows his work properly, success can be guaranteed, which is not the case in all other fields of jobs. Another positive side of freelancing is the primary requirements. Only a PC with an internet connection can be the tool of everything if the user have the proper skills.

In spite of so many obstacles, the number of opportunities are immense. If the people with skills are shown the proper way and the people with will are trained in the right direction, the future of freelancing in Bangladesh can be very bright. The present status of this development strengthens this hope even more.